What is Food Poisoning - Symptoms of Food Poisoning
ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা ফুড পয়জনিং - ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করব। ফুড পয়জনিং কে খাদ্যজনিত সমস্যা বলা হয়। দূষিত খাবার খাওয়ার ফলে সৃষ্ট অসুস্থতা কে বলা হয় ফুড পয়জনিং। এই পোস্টে আমরা ফুড পয়জনিং কি এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
আপনি যদি ফুড পয়জনিং - ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে ফুড পয়জনিং - ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ ফুড পয়জনিং - ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ
- ফুড পয়জনিং কি
- ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ
- ফুড পয়জনিং হলে করণীয়
- ফুড পয়জনিং এর ঔষধের নাম
- ফুড পয়জনিং এর ঘরোয়া চিকিৎসা
- ফুড পয়জনিং কেন হয়
- ফুড পয়জনিং হলে কি খাওয়া যাবে - ফুড পয়জনিং এর খাবার
- শেষ কথাঃ ফুড পয়জনিং - ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ
ফুড পয়জনিং কি?
আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই ফুড পয়জনিং - ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগলের সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন। আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা ফুড পয়জনিং কি এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। তাহলে চলুন ফুড পয়জনিং জেনে নেই।
ফুড পয়জনিং এটি একটি সাধারণ রোগ আমরা যেকোনো সময় এ রোগে আক্রান্ত হতে পারি। খাবার থেকে অসুস্থতার সৃষ্টি হয় তাকে ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া বলে। অনেক সময় আমাদের আশেপাশে অনেকেই দেখতে পাই এই রোগে ভুগছেন। যখন কেউ দূষিত, নষ্ট, বিষাক্ত খাবার খায় ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত তখন তাকে ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে।
তাহলে আমরা বুঝলাম যে বিষাক্ত বা দূষিত খাবার খাওয়ার ফলে যে ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাকে ফুড পয়জনিং বলে।
ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ
ফুড পয়জনিং একটি সাধারণ রোগ। দূষিত খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। সংক্রমনের উৎসের উপর নির্ভর করে ফুড পয়জনিং এর লক্ষন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। এখন আমরা ফুড পয়জনিং হলে কি ধরনের লক্ষণ দেখা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ গুলো জেনে নেই।
- ফুড পয়জনিং হলে ডায়রিয়া হতে পারে।
- খিদে না লাগা
- পেটে ব্যথা
- ক্লান্তি অনুভূত হওয়া
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- জ্বর
- তিন দিনের বেশি ডায়রিয়াতে ভোগা
- মারাত্মক ডিহাইড্রেশন
- মাথা ব্যথা হওয়া ইত্যাদি
ফুড পয়জনিং হলে করণীয়
এই পোস্টে আমরা ফুড পয়জনিং কি এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করছি। ফুড পয়জনিং সাধারণত খাবার জনিত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিষাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে যে ধরনের সমস্যা হয় তাকেই ফুড পয়জনিং বলে। এখন আমরা ফুড পয়জনিং হলে করণীয় সম্পর্কে জানব।
- রাস্তার খোলা খাবার খাওয়া যাবেনা।
- পানি ফুঁটিয়ে পান করতে হবে।
- বেশি পিপাসা লাগলে ডাবের পানি খেতে পারেন।
- খাবার পরে বাসন ভালোভাবে ধুতে হবে।
- বেশি দিন পুরনো যেকোনো ফল-মূল যেমন কলা ইত্যাদি ফল বা দুধ খাবেন না।
- হোটেলের খাবার না খাওয়া সবথেকে উত্তম। বিশেষ করে গরমের সময়।
- বেশি তেল জাতীয় জিনিস খাওয়া যাবেনা।
- যতটা সম্ভব টাটকা খাবার খেতে হবে। অনেকদিন ধরে ফ্রিজে রাখা এমন খাবার খাওয়া যাবেনা।
- খাবার ঠিকমতো ঢেকে রাখতে হবে। পোকামাকড় খাওয়াতে পড়লে সে খাবার খাওয়া যাবেনা।
ফুড পয়জনিং এর ঔষধের নাম
এই পোস্টে আমরা ফুড পয়জনিং কে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করছি। ইতিমধ্যে আমরা ফুড পয়জনিং নিয়ে অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করে এসেছি। এখন ফুড পয়জনিং এর ওষুধের নাম সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন ফুড পয়জনিং এর ওষুধের নাম জেনে নেই।
- আপনার উপসর্গগুলো উপর ভিত্তি করে কি কারনে ফুড পয়জনিং হয়েছে তা নির্ণয় করা হয়।
- চিকিৎসকের কাছে গেলে কোন জীবাণু ফুড পয়জনিং সমস্যা ঘটিয়েছে তা জানতে মলের পরীক্ষা করা হয়।
- ফুড পয়জনিং এর চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে উপসর্গগুলোকে সারিয়ে তোলা এবং বিষক্রিয়ায় কারণ থেকে নির্মূল করা হয়।
- শরীর থেকে নির্দিষ্ট জীবাণুটি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। জীবাণুর ওপর নির্ভর করে অ্যান্টিবায়োটিক নির্ধারণ করা হয়।
ফুড পয়জনিং এর ঘরোয়া চিকিৎসা
বিভিন্ন রকম বিষাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হয়। এটি একটি অতি সাধারণ রোগ যেকোনো সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হতে পারে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে ঘন ঘন বমি হওয়া, ডায়রিয়া হওয়া ডিহাইড্রেশন দেখা দেওয়া। এখন আমরা ফুড পয়জনিং হলে ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন ফুড পয়জনিং এর ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নেই।
- ফুড পয়জনিং হলে এই সময়ে বেশি আদা চা খেতে পারেন। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর সাথে আদা হজম শক্তি বাড়িয়ে দেই।
- আপেল সিডার ভিনেগার ফুড পয়জনিংয়ের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। তাই ফুড পয়জনিং হলে দুই চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক কাপ গরম পানির সাথে মিশিয়ে খালি পেটে খাবেন।
- ফুড পয়জনিং হলে লেবু খেতে পারেন। লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া যা ফুড পয়জনিং কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনার যদি ফুড পয়জনিং দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন।
- ফুড পয়জনিং এর সমস্যা সমাধানের জন্য তুলসী পাতা উপকারী। তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে দিনে কয়েকবার খেলে ফুড পয়জনিং এ সমস্যা থেকে দূর হওয়া যায়।
- রসুন ফুড পয়জনিং সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যদি রসুনের গন্ধ সহ্য করতে পারেন তাহলে রসুনের জুস করে খেতে পারেন।
- দিনে কয়েকবার এক চামচ করে মধু খেলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ফুড পয়জনিং কেন হয়
আমরা সকলে জানি যে বিষাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু আমরা কি জানি ফুড পয়জনিং কেন হয় এর বিস্তারিত। অনেকেই জানিনা এখন আমরা ফুড পয়জনিং কেন হয় এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। তাহলে চলুন ফুড পয়জনিং কেন হয় তা জেনে নেই।
- সাধারণত বাসি-পচা অস্বাস্থ্যকর জীবাণুযুক্ত খাবার বা নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- আমরা যেই থালাবাসনে খাবার খায় সেগুলো ভালোভাবে না ধোয়ার কারণে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে পরিষ্কার না হয় খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- খাবার আগে ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খেতে শুরু করলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- রাস্তার বাজে যে কোন খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ রাস্তাঘাটের খাবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয় না।
- বাড়ির খাবার যদি অনেকক্ষণ ধরে গরমে রাখা হয় ও তাতে পোকামাকড় পরে এবং সে খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ফুড পয়জনিং হলে কি খাওয়া যাবে - ফুড পয়জনিং এর খাবার
রাস্তার ধারের বিভিন্ন রকম খোলা খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। যদি সময় মত ফুড পয়জনিং এর চিকিৎসা করা না হয় তাহলে পানিশূন্যতা হতে পারে। এর থেকে বিভিন্ন রকম বড় ধরনের রোগ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই ফুড পয়জনিং হলে তাড়াতাড়ি তা নির্ণয় করে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকেই ফুড পয়জনিং হলে কি খাওয়া যাবে এ বিষয়ে জানতে চাই। তাহলে চলুন ফুড পয়জনিং হলে কি খাওয়া যাবে তা জেনে নেই।
- রাস্তার খোলা খাবার খাওয়া যাবেনা।
- ডাবের পানি খেতে হবে।
- পানি ফুঁটিয়ে খেতে হবে।
- যতটা সম্ভব টাটকা খাবার খেতে হবে। অনেকদিনের রাখা ফ্রিজের বাসি খাবার খাওয়া যাবেনা।
- ফুড পয়জনিং আক্রান্ত হলে ডাবের পানি, স্যালাইন শরবত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
- কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
শেষ কথাঃ ফুড পয়জনিং - ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ
আপনারা যারা ফুড পয়জনিং - ফুড পয়জনিং কি - ফুড পয়জনিং এর লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চেয়ে ছিলেন তাদের জন্য এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। বিষাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে ফুড পয়জনিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই অবশ্যই খাওয়ার আগে খাবারের মান বিবেচনা করে নিতে হবে।
বাসি পচা খাবার খাওয়া যাবেনা। রাস্তার খোলা খাবার খাওয়া যাবেনা। এতে আমরা ফুড পয়জনিং থেকে বেঁচে থাকতে পারি। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।
إرسال تعليق