স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ - স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ - স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা নিয়ে আলোচনা করব। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যেসব নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয় সেগুলো কে স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে অভিহিত করা হয়। এখন আমরা স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করব।

আপনি যদি স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ - স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ - স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ - স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা

স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা

আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ - স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা জানার জন্য গুগলের সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন। আপনি তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা জেনে নেই।

ভূমিকাঃ

সুস্থতা কে মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ বলা হয়। সুস্থ থাকার জন্য যেসব নিয়মকানুন মেনে চলতে হয় তাকে বলা হয় স্বাস্থ্যবিধি। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকর সংক্রামক থেকে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র বলা হয় স্বাস্থ্যবিধি কে। বিভিন্ন ধরনের ছোঁয়াচে ভাইরাস এর প্রতিকার হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা।

স্বাস্থ্যবিধি কি?

সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যেসব নিয়ম-কানুন অনুশীলন করতে হয় তাকেই স্বাস্থ্যবিধি বলে। স্বাস্থ্যবিধি রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্বাস্থ্যবিধি শব্দটি ইংরেজি পরিভাষা Hygiene থেকে এসেছে। যার অর্থ হচ্ছে সুস্বাস্থ্য সংরক্ষণ। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিচে এবং পরিবেশের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং রোগমুক্ত রাখার অভ্যাস চর্চা করা। স্বাস্থ্যবিধি হচ্ছে সুস্থ জীবন যাপনের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য চর্চা ও পরিচ্ছন্নতা অনুসরণ করা।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের উপকারিতাঃ

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি বিভিন্ন রকম মহামারী আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করলে আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এতে আমাদের কোনো ধরণের ক্ষতি হয় না আর আমরা উপকৃত হই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুরক্ষা পরিবেশ দূষণ রোধ ও রোগ জীবাণুর আক্রমণ থেকে নিজেকে এবং পরিবেশকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে স্বাস্থ্যবিধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


আমরা যদি সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে ডায়রিয়া শ্বাস-প্রশ্বাসে রোগ ত্বকের ইনফেকশন সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করা যায়। সারাবিশ্বে করোনা মহামারীর মতো ভয়ংকর জীবাণু থেকে প্রতিরোধ করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা যত বড় এবং ভয়ঙ্কর ভাইরাস হোক না কেন তা থেকে বাঁচতে পারবো।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আমাদের করণীয়ঃ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এটি আমাদের দায়িত্ব। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা একটি ভালো অভ্যাস। নিজের এবং নিজের পরিবারের পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আমাদের করণীয় গুলো জেনে নেই।

  • নিজেকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
  • নিজের সাথে নিজের পরিবার এবং আশেপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
  • খাবারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। এবং সব সময় খাবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাবার খেতে হবে।
  • সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
  • বাইরে থেকে আসার পরে অবশ্যই সাবান বা স্যাভলন দিয়ে ভালোমতো হাত ধুয়ে নিতে হবে।
  • হাঁচি-কাশির সময় রুমাল অথবা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। টিস্যু ব্যবহার করলে সেটা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দিতে হবে।
  • নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এটি সুস্থ থাকার একটি মূলমন্ত্র।
  • বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে যেতে হবে।
  • অবশ্যই বাইরের খাবার খাওয়া যাবেনা। খেলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক বিবেচনা করতে হবে।
  • শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। যানবাহনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি অবহেলার পরিণামঃ

আমাদের সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করলে সুস্থ থাকা সম্ভব হয়না। স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করলে মানুষকে বিভিন্ন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে। এতে বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকে। স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করার কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। অসুস্থ হলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় আরো অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করা উচিত নয়।

স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্বঃ

কিছুদিন আগে পৃথিবীতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এর আক্রমণের কারণে পুরা পৃথিবী থমকে গিয়েছিল। এ ভাইরাসটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারী ভাইরাস হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। এর ভয়াবহতা আমাদের সকলেরই জানা আছে। একমাত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই মানুষ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পেরেছে।

মহামারী করোনাভাইরাস আক্রমণ কমাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া কোন বিকল্প ছিলনা। এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। এর থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশ্বের সকল দেশ করোনাভাইরাস আক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি এর ওপর বিশেষ নজর দিয়েছিল।


বিশেষ করে ভাল করে হাত ধোয়া মাস্ক ব্যবহার করা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে বলেছিল। এগুলো হল স্বাস্থ্যবিধির অংশ। আর এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে আজ করনা ভাইরাসের আক্রমণ অনেক কমে গিয়েছে। তাহলে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব কতটা রয়েছে তা আমরা বুঝতে পারছি।

স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য গুরুত্বারোপ করেছিল। বাংলাদেশ সরকার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উৎসাহিত করেছিল। এবং বেশিরভাগ মানুষ করোনা চলাকালীন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছিল বলে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস অন্যান্য দেশের মতো প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাই আমরা যদি সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে যেকোনো দুর্যোগ মহামারী প্রতিরোধ করা সম্ভব।

উপসংহারঃ

নিজে ভালো থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা একটি ভালো অভ্যাস। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বিশেষ করে সংক্রমিত রোগ গুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই নিজেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে তার সাথে পরিবারকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপদেশ দিতে হবে এবং পরিবেশের আশেপাশের মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করতে হবে। অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং নিজের আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

বাংলা অনুচ্ছেদ স্বাস্থ্যবিধি - স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ

স্বাস্থ্যবিধি হচ্ছে সুস্থ জীবন যাপনের জন্য অবশ্যকীয় স্বাস্থ্য চর্চা ও পরিচ্ছন্নতা অনুসরণ করা। অন্যভাবে বলা যায় সুস্থ জীবন যাপনের জন্য নিজের এবং নিজের চারপাশের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন এবং রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য যে অভ্যাস চর্চা করা হয় তাই স্বাস্থ্যবিধি। বর্তমানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এর থাবায় পুরো পৃথিবী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসকে মহামারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এ ভয়াবহ পরিস্থিতি সামলাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই পৃথিবীর মানুষ আবার ফিরতে পারবে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়।


বিশেষ করে ভাল করে হাত ধোয়া মাস্ক ব্যবহার করা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে বলেছিল। এগুলো হল স্বাস্থ্যবিধির অংশ। আর এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে আজ করনা ভাইরাসের আক্রমণ অনেক কমে গিয়েছে। তাহলে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব কতটা রয়েছে তা আমরা বুঝতে পারছি।

স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য গুরুত্বারোপ করেছিল। বাংলাদেশ সরকার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণকে উৎসাহিত করেছিল। এবং বেশিরভাগ মানুষ করোনা চলাকালীন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছিল বলে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস অন্যান্য দেশের মতো প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাই আমরা যদি সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে যেকোনো দুর্যোগ মহামারী প্রতিরোধ করা সম্ভব।

শেষ কথাঃ স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ - স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা

আপনারা যারা স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ - স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা জানতে চেয়েছিলাম তাদের জন্য উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি স্বাস্থ্যবিধি অনুচ্ছেদ রচনা সম্পর্কে জানতে পারবেন। অবশ্যই আমাদের সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে নিজে ভালো থাকার জন্য এবং পরিবারকে ভালো রাখার জন্য।

ভালো থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post