শরীর সুস্থ রাখতে হলে এক্সারসাইজের বিকল্প নেই। সঠিক নিয়মে এক্সারসাইজ করলে আপনার শরীর সবসময় সুস্থ থাকবে। নিচে এক্সারসাইজ করার সঠিক সময় ও এক্সারসাইজ এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচিপত্র: এক্সারসাইজ করার সঠিক সময় - এক্সারসাইজ এর উপকারিতা
এক্সারসাইজ করার সঠিক সময় - এক্সারসাইজ এর উপকারিতা: ভুমিকা
আপনি যদি পরিমিত পরিমাণে নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন তাহলে আপনি দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকতে পারবেন। পক্ষান্তরে আপনি যদি শুধু শুয়ে-বসে থাকেন এবং শারীরিক পরিশ্রম না করেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যজটিলতার মধ্যে পড়তে পারেন। তাই সুস্থ থাকার জন্য এক্সারসাইজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এক্সারসাইজ কি? এক্সারসাইজ করার সঠিক সময়, এক্সারসাইজ এর উপকারিতা, এক্সারসাইজ করার নিয়ম, এক্সারসাইজ ব্যায়াম এবং এক্সারসাইজ করার পদ্ধতি নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। এক্সারসাইজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এক্সারসাইজ করার সঠিক সময়
অসময়ে বা এলোমেলোভাবে এক্সারসাইজ করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কেননা শুধু এক্সারসাইজ করলে হবে না সঠিক নিয়মে ও সঠিক সময়ে এক্সারসাইজ করতে হবে। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক এক্সারসাইজ করার সঠিক সময় কোনটি।
সকালবেলা: ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময় হতে পারে সকালবেলা। কেননা, সকালবেলার যদি আপনি ব্যায়াম করেন তাহলে সারাদিন আপনি আপনার কাজে এনার্জি পাবেন এবং অ্যাক্টিভ থাকতে পারবেন। তবে সকাল বেলা ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে কিছু বিষয়।
অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই ব্যায়াম শুরু করে দেন। ব্যায়াম করতে প্রচুর এনার্জীর প্রয়োজন হয় কিন্তু সকালে যখন ঘুম থেকে উঠি তখন সেই পরিমাণে আছে কিন্তু আমাদের শরীরে থাকে না, তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই হার্ড ব্যায়াম করা সমীচীন নয়।
সকালে ওঠার পর আপনি অল্প সময় হাঁটাহাঁটি করেন এর পরে সকালের খাবার খেয়ে তারপর রেস্ট নিয়ে হার্ড ব্যায়াম করতে পারেন। কল করেও কখনো সকাল বেলা খালি পেটে হার্ড ব্যায়াম করতে যাবেন না এতে করে হিতে বিপরীত হতে পারে।
বিকেলবেলা: আপনার দৈনন্দিন ব্যায়ামের উপযুক্ত সময় হতে পারে বিকেলবেলা। বিকেলবেলা সাধারণত মন ভালো থাকে আর সে সময় আপনি ইচ্ছা করলে আপনার ব্যায়ামের কাজ সেরে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ব্যায়াম করার পূর্বে যেন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে এলার্জি থাকে। অর্থাৎ খেয়ে রেস্ট নেয়ার পর ব্যায়াম করবেন।
ব্যায়াম করার সময় অবশ্যই আপনার যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হবে তাই পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে ব্যায়াম করবেন। অল্প সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এরকম করবেন না। এক্সারসাইজ কি? কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
দিনের যেকোনো সময়: আপনার হাতে যখন পর্যাপ্ত পরিমানে সময় থাকবে সেই সময় টিকে আপনি ব্যায়ামের জন্য নির্ধারণ করতে পারেন যেহেতু ব্যায়াম করতে পর্যাপ্ত সময়ের প্রয়োজন হয়, তাই দিনের যেকোনো সময় আপনি ব্যায়াম করতে পারবেন এতে কোন সমস্যা নেই। তবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে একেকদিন একেক সময়ে ব্যায়াম করা উচিত নয়।
চেষ্টা করবেন প্রতিদিন যেন একই সময়ে ব্যায়াম করা যায়। আর কখনোই মানসিকভাবে চাপ নেবেন না রিল্যাক্স মুডে ব্যায়াম করতে হবে এবং রিফ্রেশ থাকতে হবে। কখনো যদি অসুস্থ হয়ে যান কোন কোন ব্যায়াম করবেন না। সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ব্যায়াম বন্ধ রাখতে হবে।
এক্সারসাইজ কি? এক্সারসাইজ করার সঠিক সময়, এক্সারসাইজ এর উপকারিতা, এক্সারসাইজ করার নিয়ম, এক্সারসাইজ ব্যায়াম এবং এক্সারসাইজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
এক্সারসাইজ এর উপকারিতা - এক্সারসাইজ ব্যায়াম
এক্সারসাইজ ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এক্সারসাইজ এর উপকারিতা গুলো উল্লেখ করা হবে। আপনি যদি নিয়মিত এক্সারসাইজ ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার শরীর থাকবে সবসময়ের জন্য সেট এবং থাকবে চাঙ্গা চলুন দেখে নেয়া যাক, এক্সারসাইজ করলে কি কি উপকার পাওয়া যায় এবং এক্সারসাইজ ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত।
চলুন দেখে নেয়া যাক, এক্সারসাইজ কি? এক্সারসাইজ করার সঠিক সময়, এক্সারসাইজ এর উপকারিতা, এক্সারসাইজ করার নিয়ম, এক্সারসাইজ ব্যায়াম এবং এক্সারসাইজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সমূহ।
এক্সারসাইজ এর উপকারিতা সমূহ:
- নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- শরীরের সক্ষমতা ও সহনশক্তি বৃদ্ধি করে।
- ব্যায়াম করলে মন ফুরফুরে থাকে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
- শরীর সুঠাম ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
- শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বৃদ্ধি পায়।
- কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায়।
- যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম সুনিদ্রা আনয়ন করে।
এক্সারসাইজ কি? - এক্সারসাইজ করার নিয়ম - এক্সারসাইজ করার পদ্ধতি
আপনার প্রশ্ন যদি হয় যে, এক্সারসাইজ কি?এ ক্সারসাইজ বা ব্যায়াম মানে হলো শরীর থেকে ঘাম ঝরানো। অর্থাৎ শারীরিক বিভিন্ন ধরনের কসরত এর মাধ্যমে পরিশ্রম করা, যেন সেই পরিশ্রমের ফলে শরীরের ঘাম ঝরে।
তবে যেনতেনভাবে বা সঠিক নিয়ম ব্যতিরেকে যদি আপনি আপনার শরীরের ঘাম ঝরানো এতে কোনো লাভ নেই। তাই নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যায়াম করতে হবে। এক্সারসাইজ কি? আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
- এক্সারসাইজ করার নিয়ম - এক্সারসাইজ করার পদ্ধতি: পুশআপ। খুবই কমন এবং কার্যকরী একটি ব্যায়াম হলো পুশআপ। তাই ব্যায়াম করার পূর্বে অবশ্যই পুশআপ করে শরীর গরম করে নিতে হবে এবং তারপরে আপনাকে ব্যায়াম শুরু করতে হবে। কেননা শরীর গরম না না করে ব্যায়াম শুরু করা উচিত নয়।
- এক্সারসাইজ করার নিয়ম - এক্সারসাইজ করার পদ্ধতি: জাম্পিং জ্যাক। জাম্পিং জ্যাক ব্যায়ামের নিয়ম ও হলো প্রথমে আপনাকে আপনার পা দুটি একসাথে এবং হাত নিচের দিকে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। একই সাথে দুই হাত উপরের দিকে নিয়ে যান এবং একই সময়ে পা-দুটো দুদিকে ছড়িয়ে দিন। একইভাবে আবার পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে আনুন এভাবে ১৫ থেকে ২০ বার করুন আর এই ব্যক্তিকে বলা হয় জাম্পিং জ্যাক।
- এক্সারসাইজ করার নিয়ম - এক্সারসাইজ করার পদ্ধতি: ক্রস ক্রাঞ্চ। এই ব্যায়াম শুরু করার নিয়ম হলো প্রথমে উভয় পা লম্বালম্বি ভাবে করে সমতলে বিছিয়ে দিন এর পরে আলতো করে আপনার মাথায় উভয় হাত রাখুন। এরপরে পাদুটোকে উঁচু করুন। তারপর ডান হাতের কনুই দিয়ে বাম হাতে স্পর্শ করার চেষ্টা করুন এবং বাম হাতের কনুই দিয়ে ডান হাতের স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এভাবে ১৫-২০ বার চেষ্টা করুন।
এক্সারসাইজ কি? এক্সারসাইজ করার সঠিক সময়, এক্সারসাইজ এর উপকারিতা, এক্সারসাইজ করার নিয়ম, এক্সারসাইজ ব্যায়াম এবং এক্সারসাইজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে ইতোমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এক্সারসাইজ করার সঠিক সময় - এক্সারসাইজ এর উপকারিতা: শেষ কথা
উপরে এক্সারসাইজ কি? এক্সারসাইজ করার সঠিক সময়, এক্সারসাইজ এর উপকারিতা, এক্সারসাইজ করার নিয়ম, এক্সারসাইজ ব্যায়াম এবং এক্সারসাইজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে যে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে আপনি যদি সকলের সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আপনি ব্যায়াম করতে সক্ষম হবেন এবং আপনার শরীর ফিট রাখতে পারবেন।
Post a Comment