বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। স্যালাইন মূলত শরীরে লবণের ঘাটতি পূরণ করার কাজে ভূমিকা পালন করে। শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে লবণের ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই জরুরী। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।

আপনি যদি আপনার বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানাতে চান তাহলে আমাদের পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।

পেজ সূচিপত্রঃ বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম

স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সকলেই জানি যে স্যালাইনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন রকম অসুখ হলে ডাক্তার স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সবার বাড়িতে স্যালাইন থাকে। স্যালাইন খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয় এবং শরীরের দুর্বলতা কেটে যায়। শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এই পোস্টে আমরা বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানব। তার আগে স্যালাইন আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে তাই এখন আমরা স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেব।


স্যালাইন খাওয়ার উপকারিতাঃ

  • ডায়রিয়া ভালো করতে স্যালাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • শরীরে পানি স্বল্পতা হলে ডাক্তার স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ স্যালাইন শরীরের পানি স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
  • স্যালাইন খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় লবণের চাহিদা পূরণ হয় শরীরকে শান্ত রাখা যায়।
  • নিম্ন রক্তচাপ থেকে স্বাভাবিক রক্তচাপের নিয়ে আসার জন্য স্যালাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • শরীরে লবণের ভারসাম্য ঠিক রাখতে স্যালাইন এর উপকারিতা অনেক।
  • শরীরের দুর্বলতা কমাতে স্যালাইন এর উপকারিতা অনেক।
  • ঘামের মাধ্যমে অনেক লবণ বের হয়ে যাওয়ার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা এবং লবণের শূন্যতা পূরণ করতে স্যালাইন এর উপকারিতা রয়েছে।

ডায়রিয়া ছাড়া যেসব কারণে স্যালাইন খেতে পারবেন

স্যালাইন নাম শুনিনি বা স্যালাইন খাইনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ডায়রিয়া হলে পানিশূন্যতার সাথে সাথে শরীরের লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। এই লবণের ঘাটতি পূরণ করতে ও পানিশূন্যতা দূর করার জন্য ডায়রিয়া হলে স্যালাইন খেতে বলা হয়। ডায়রিয়া ছাড়াও আমরা আরো যেসব কারণে স্যালাইন খেতে পারি সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

শরীর দুর্বল অনুভূত হলেঃ যদি কখনো আপনার শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্যালাইন খেলে দুর্বলতা অনেকটাই দূর হয়ে যায়। কারণ স্যালাইনে সোডিয়াম ক্লোরাইড এর পাশাপাশি গ্লুকোজ ও থাকে। তাই শরীর দুর্বলতা অনুভব হলে অবশ্যই স্যালাইন খাবেন।

খুব গরমের কারণেঃ খুব গরমে কাজ করার কারণে অনেক সময় আমাদের শরীর ঘেমে অনেক পানি বের হয়ে যায় যার সাথে সাথে আমাদের শরীরে লবণ গুলো বের হয়ে যায়। তাই কাজ করার পর স্যালাইন খেলে শরীরে লবণের অভাব পূরণ হবে এবং আপনি আবার কাজ করার সক্ষমতা ফিরে পাবেন।


লো প্রেসার সমস্যা থাকলেঃ আমাদের মধ্যে অনেকেরই লো প্রেসারের সমস্যা থাকে। এটা মূলত রক্তের সোডিয়াম আয়রনের অভাবে হয় এবং হার্টবিট পাম্প করার পর্যাপ্ত শক্তি পাইনা। এ সময় আপনি যদি স্যালাইন খান তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে রক্তে সোডিয়াম আয়রনের অভাব পূরণ হয়। এবং আপনার নিম্ন রক্তচাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

অতিরিক্ত টেনশনে থাকলেঃ অতিরিক্ত কাজের চাপ বা কোন পারিবারিক সমস্যা আর্থিক সমস্যার কারণে অনেক সময় টেনশনে থাকেন। এ সময় দেখা যায় মাথা ব্যথা করে শরীর দুর্বল হয়ে যায় তখন আপনি যদি স্যালাইন খান তাহলে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম

আমরা সকলেই জানি যে স্যালাইন খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। স্যালাইন খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন রকম উপকার হয়ে থাকে। শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে স্যালাইন কার্যকরী। শরীরে লবণের পরিমাণ বাড়াতে স্যালাইন কার্যকরী ভূমিকা রাখে। শরীরের দুর্বলতা কমাতে এবং শরীরকে চাঙ্গা করতে স্যালাইন এর ভূমিকা রয়েছে। আমরা এখন বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানব।


যদি কখনো হঠাৎ আপনার প্রচন্ড শরীর খারাপ হয় অথবা রাতে ডায়রিয়া হয়। আপনার বাড়িতে কোন স্যালাইন না থাকে তখন আপনি কি করবেন। রাতে তো দোকান খোলা থাকেনা। আর এই অবস্থায় যদি আপনি স্যালাইন না খান তাহলে আপনার অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ডায়রিয়া হলে অবশ্যই অবশ্যই স্যালাইন খেতে হয়। তখন আপনি কিভাবে বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানাবেন সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করব।

তিনটি ধাপে বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়মঃ

  1. প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে এক লিটার বিশুদ্ধ পানি নিন। পানি অবশ্যই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকতে হবে।
  2. পাত্রের পানিতে আধা চা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন।
  3. এরপর পাত্রে ৬ চা-চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। তাহলে আপনার খাবার উপযোগী স্যালাইন তৈরি হয়ে যায়।

অবশ্যই মনে রাখবেন আপনার বাড়ীতে তৈরি করা স্যালাইন আপনাকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে খেতে হবে। এবং দোকান থেকে কিনে আনা স্যালাইন গুলো একবার তৈরি করা হয়ে গেলে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত পান করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম

আপনারা যারা বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়ে ছিলেন তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই উপকারী। কারণ আমরা সকলে জানি যে স্যালাইন আমাদের জন্য অনেক উপকারী। কারণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে স্যালাইন খেলে শরীর ভালো হয়। তাই আজকের পোস্টে আমরা বাড়িতে খাবার স্যালাইন বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

আপনি অবশ্যই বাসায় স্যালাইন রাখার চেষ্টা করবেন। যদি না থাকে তাহলে আমাদের উল্লেখিত বর্ণনা অনুযায়ী স্যালাইন বানিয়ে নিতে পারেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।


Post a Comment

Previous Post Next Post